চড়াই এর কিচ কিচ
খোলা আকাশে পাখিদের ভাসা
ঘুলঘুলিতে চড়াই এর বাসা
এই দেখে আমিও,
(ছোট ছিলাম জানিও),
বানাতাম ঘাসের বাসা
মার মতন পুতুলের দেখাশোনা ও ভালবাসা,
খাওয়ানো, ঘুম পাডানো
এই ছিল খেলা,
সে ছিল আমার ছোটবেলার পুতুলের খেলা.
তার পরে একদিন, এলো সেই দিন,
পুতুলের বিয়ে, ঘী আর আলুভাতে,
মার সেই নেমন্তন্ন , কত কিছু রান্না
হাসি আর কান্না
এই ছিল ছোটবেলার খুশির মেলা
শেষ হলো ছোটবেলা আর পুতুলের খেলা
হলাম কিশোরী, পড়লাম নজরে,
বড় বড় চোখ নিয়ে, সে কি দেখা রে,
কেউ বা ছুঁতে চায়, কেউ বা ধরতে,
খেলা ভেবে ছুটে পালাই,
পারে না কেউ কিছু করতে.
তবে একদিন এক দূর সম্পর্কের কাকা,
ধরলো আমাকে চেপে, দিলো আমাকে বকা,
চক্ষু ভরা জল আমার, বললো দেখো সোনা,
তুই তো আমার পুতুল, আয় খেলবো ঘরের ওই কোনা,
গা কুটকুট, গাল কুটকুট, না কিছু বুঝি, না জানি,
ভালবাসা নকল ছিল, সবই বুঝতে পারলাম আমি.
যৌবনের দ্বার খুললো, রাখলাম আগে পা,
কেউ বলে সুন্দরী, কেউ বা বলে খ্যাপা.
আমাকে পাবার জন্য লাগলো চারিদিকে গোল,
হাতে না পেয়ে, বেহায়া নির্লজ্জ এই ছিল বোল.
খোলা আকাশ দেখে ছোয়ার চেষ্টা,
অশিষ্ট বলে চালিয়ে দিলো, কিরকম হলো কেস টা?
সময় হলো, আমারও সেই দিন এলো,
মা বাবাও, আমার বিয়ে নিয়ে ভাবলো,
দেখা হলো ছেলে, তন্ন তন্ন করে,
বিয়ের আয়োজন, অনেক কষ্ট করে.
তার পর শুরু হলো, প্রতিদিন ঝগড়া,
মাসের অর্ধেক দিনই আডি,
বাকিদিন মিনসে সময়ে আসে না বাড়ি.
হয়ে গেলো আমার জীবন একঘেয়ে,
টিভি, খাওয়া, ঘুমোনো,
আমার জীবন বোধহয় রয়ে গেলো আর-এক পুতুলের খেলা.
(এ কবিতা-টি পড়ে আশ্চর্যচকিত হবেন না. আমাদের দেশের অনেক মহিলা ভারতীয় সংস্কৃতির নামে এবং নিজের বাবা-মা-সন্তান এবং পরিবার এর স্বার্থ তে নিজের জীবনের খুশি-আশা-ভালবাসা ত্যাগ করে দিয়েছেন. এ কবিতা-টি তাঁদের সমর্পিত করলাম .)
(এ কবিতা-টি পড়ে আশ্চর্যচকিত হবেন না. আমাদের দেশের অনেক মহিলা ভারতীয় সংস্কৃতির নামে এবং নিজের বাবা-মা-সন্তান এবং পরিবার এর স্বার্থ তে নিজের জীবনের খুশি-আশা-ভালবাসা ত্যাগ করে দিয়েছেন. এ কবিতা-টি তাঁদের সমর্পিত করলাম .)